অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগীয় দলে চাঁদপুরের ৬ জন, চট্টগ্রামের নাই একজনও

2

স্পোর্টস ডেস্ক

মাত্র ক’দিন আগে শেষ হওয়া বিসিবি ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব ১৮ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম জেলা লক্ষীপুরের কাছে উপর্যুপরি দুইবার হেরে গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নেয়। চট্টগ্রাম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাঁদপুর আর রানার্স আপ লক্ষীপুর জেলা। টুর্নামেন্টে পারফর্ম্যান্স বিবেচনায় ১১টি জেলার বাছাইকৃত ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় অনূর্ধ্ব ১৮ দল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এ দলে চাঁদপুর জেলার ৬ জন খেলোয়াড় সুযোগ পেলেও বিভাগীয় হেড কোয়ার্টার চট্টগ্রামের নাই একজনও। যে জেলায় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সংখ্যা সেঞ্চুরির কাছাকাছি সেখানে বিভাগীয় দলে খেলার মত একটা ক্রিকেটারও নেই? এ নিয়ে তীব্র হতাশা ক্রিকেট সংগঠক ও ক্রিকেট প্রেমিদের মাঝে।
‘চট্টগ্রাম ডিভিশন টিমে আমাদের কোন প্লেয়ার নাই’- অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য করে একজন কোচ বলেন, আমাদের মধ্যে ইউনিটি না থাকার কারণে। আস্তে আস্তে চট্টগ্রাম ডিভিশনে আমাদের কোন প্লেয়ার থাকে কিনা সন্দেহ আছে। ক্ষোভের সাথে তিনি আরও বলেন, ডিভিশন টিমের সাথে কোচ ম্যানেজারও বাইরে থেকে যায়। আমাদের ডিভিশন আমরাই কাজ করতে পারি না। কারন আমাদের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার মন-মানসিকতা নাই।
চোখের সামনে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। আর ক্রিকেটের জন্য নাই। আমরা যদি সবাই চাই, সকল একাডেমি কোচ এবং খেলোয়াড়রা মিলে একটি আন্দোলনের চেষ্টা করছি না, মুখ বন্ধ করে আছি। শুধু হোয়াটসঅ্যাপে আর ফেসবুকে আমরা সচল, বাস্তবে আমরা মাঠে নেমে কোন রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করতেছি না- এটাই আমাদের ব্যর্থতা।
আরেকজন বলেন, খবর পেলাম- এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এবং আউটার স্টেডিয়াম দুইটাই ফুটবল নিয়ে নিচ্ছে। তারা নাকি ফুটবল ভিলেজ করবে সেখানে,, ক্রিকেটের কিছুই থাকবেনা। এমন হলে আমরা যারা ক্রিকেটার, ক্রিকেট কোচ, কোচিং করিয়ে পরিবার চালাতে হয় তাদের কি হবে?
তিনি ক্রিকেট কোচেস এসোসিয়েশন এর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দ্রæত কিছু একটা পদক্ষেপ নেন, তা নাহলে আমরা সমস্যায় পড়ে যাবো।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই আন্দোলনে নামার আহবান জানিয়ে একজন বলেন, আমরা সবাই মিলে জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাবরে স্মারকলিপি দিতে পারি।
এ ব্যাপারে এক সিনিয়র কোচ তামিম ইকবালের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে ওর সম্পর্ক অসাধারণ।