অধ্যাপক খালেদকে স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি

65

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নাট্যজন শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ আমাদের চেতনার বাতিঘর। সাংবাদিকতা জগতের এই পথিকৃৎ মৃত্যুর পরও অমর হয়ে আছেন তাঁর কর্মে। গতকাল শুক্রবার নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ে স›দ্বীপনা কার্যালয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভাস্কর ডি কে দাশ মামুনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাবন্ধিক সিদ্দিক আহমেদ, কবি তরণী কুমার সেন, সংস্কৃতিকর্মী অমলেন্দু রাহা, সাংবাদিক আবীর চক্রবর্তী, নাট্যকর্মী একরামুল হোসেন, সজীব দাশ, রাজনীতিবিদ আবদুল কুদ্দুস, সংগীত শিল্পী বৃষ্টি দাশ, মোশারফ হোসেন খান রুনু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের তথ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে স্বাধীন বাংলা বেতারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন তিনি। পাশাপাশি মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র হিসাবে প্রকাশিত ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
বক্তারা আরও বলেন, রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের সন্তান অধ্যাপক খালেদ ১৯৪২ সালে কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজে বিএ শ্রেণিতে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন বেগবান করতে মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনায় গঠিত ৫ সদস্যের চট্টগ্রাম সংগ্রাম কমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সংবিধান কমিটির সদস্য হিসাবে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন অধ্যাপক খালেদ। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার গভর্নর নিযুক্ত করেন। চট্টগ্রামের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন অধ্যাপক খালেদ। বিজ্ঞপ্তি