অতিরিক্ত বিল ও হয়রানি ওয়াসার এমডির কাছে রিহ্যাবের অভিযোগ

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ওয়াসার মিটার রিডিং অনুযায়ী বিল না হওয়া, গভীর নলক‚পের লাইসেন্স নিতে অতিরিক্ত অর্থ দাবি, নোটিশ ছাড়াই লাইন বন্ধ করে দেওয়াসহ কয়েকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সাথে মতবিনিময় সভায় এসব অভিযোগ তুলে ধরেন রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটি মতবিনিময় সভায় বলেন, প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় মিটার রিডিং অনুয়ায়ী বিল না করে গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়। এই বিল পরিশোধ করা গ্রাহকের পক্ষে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। রিহ্যাব সদস্যদের নির্মাণাধীন প্রকল্প সমূহে গভীর নলকূপের জন্য লাইসেন্স নিতে গেলে নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হয় এবং সময়মত লাইসেন্স পাওয়া যায় না। একই প্রকল্পে গভীর নলকূপের জন্য লাইসেন্স প্রতি বছর অনেক টাকা দিয়ে নবায়ন করতে হয়, যা গ্রাহকের জন্য বোঝা স্বরূপ। আবার কোন প্রকল্পে ওয়াসার বকেয়া বিল পরিশোধের নোটিশ ছাড়াই লাইন বন্ধ করে দিয়ে কর্মচারীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সভায় চট্টগ্রামে (স্যুয়োরেজ) পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ওয়াসা কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চট্টগ্রামে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ নর্দমা বা আধার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ বলেন, নির্ধারিত ফি নিয়ে গভীর নলকুপের জন্য লাইসেন্স ৭ দিনের মধ্যে দিবেন, ডিমান্ডচার্জ’র বাইরে ১ টাকাও অতিরিক্ত দিতে হবে না, পানির বিলের অসংগতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি অথবা অনলাইনে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং তাঁর কাছে অভিযোগ দিতে বলেন।
পূর্ব নোটিশ ছাড়া কোনভাবেই পানির লাইন বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে ফজলুল্লাহ বলেন, কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অতিরিক্ত কোন টাকা চাইলে, পানির লাইন বন্ধ করলে অথবা অযথা হয়রানি করলে আমার কাছে অভিযোগ দেন, আমি অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ সময় তিনি বলেন, ২০২৯ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে (স্যুয়োরেজ) পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য ভূগর্ভস্থ নর্দমা তৈরি করা হবে। চট্টগ্রামের জন্য ওয়াটার প্ল্যান্ট ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকার একটা মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করেছে এবং এ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব’র পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান-১ মোরশেদুল হাসান, চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম ভূঁইয়া, সৈয়দ ইরফানুল আলম, মিসশারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দীন আহমেদ, মাইনুল হাসান, চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম প্রমুখ।